স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:৪১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুরে শিক্ষকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) আবু বকর সিদ্দিকের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন টঙ্গীর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। আজ বুধবার দুপুরে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা জানান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের (নং ০৫.৪১.৩০০০.০২১.৯৯.০০৭.২১.১০৫) স্মারকের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে জেলা প্রশাসক গাজীপুর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু জেলা প্রশাসক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সেহেতু আমরা টঙ্গীস্থ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি বেতন বিল (প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত) গাজীপুর জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর জমা দিতে গেলে কমিশনার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
এসময় টঙ্গী সাহাজ উদ্দিন সরকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের প্রভাষক আক্তার হোসেন বেতন বিল জমা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা জানতে চান ওই সিনিয়র সহকারি কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮১জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন বলে জানালে তিনি ‘এটা কি লঙ্গরখানা খুলে রেখেছি যে এতো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দিতে হবে’ এরূপ বিরূপ মন্তব্য করেন। বিষয়টি টঙ্গীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানাজানি হলে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুঁসে উঠেন। বুধবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন।
শিক্ষকরা আরো জানান, তিনমাস যাবত তারা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন জানানোর পরও তিনি (সিনিয়র সহকারি কমিশনার) বিষয়টি গুরুত্বসহকারে না দেখে শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে প্রতিটি ফাইল জমা না নিয়ে ফেরত পাঠায়। আমরা কমিশনার আবু বকর সিদ্দিককে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা থেকে অনতিবিলম্বে অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার আবু বকর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র একসপ্তাহ হয়েছে। ওই শিক্ষকের সাথে কোনো অশোভন আচরণ করা হয়নি। আর শিক্ষকদের বেতন বিল স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। এখানে আমার কোনো হাত নেই।