নিজস্ব প্রতিবেদক :: ৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১২:১৪:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
অপরাধী যতোই প্রতাপশালী হোক না কেন, কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আগে অনেক সময় অনেক প্রতাপশালী অপরাধী ছাড় পেয়ে যেতো। সেটা আর হতে দেয়া যাবে না। আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরে পিলখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেহেতু আপনারা জানেন ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সময় লাগবে। বিজিবিতেও অনেক চেঞ্জ করা হয়েছে। এজন্য একটু সময় লাগতেছে, তবে পরিস্থিতির আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। সামনের দিকে আরও উন্নতি হবে বলেও জানান তিনি।
বিজিবিকে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সাথে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডারভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সাথে একটা সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সাথে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।
এছাড়া, সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন `অবৈধ পণ্য` প্রবেশ ঠেকানোর উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন সীমান্ত দিয়ে অনেক সময় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক চলে আসে। কোন অবস্থায় যেন না আসে এগুলো আমাদের জাতির অনেক ক্ষতি করছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গুলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা কিন্তু ঢুকতে পারেনা। আমাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। কিছু ঢুকছে আমিও অস্বীকার করিনা। তাদের আবার পাঠায় দিবো। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে। কি হবে বলতে পারবো না। যে কোন একটা হইতেই হবে।
রমনা থানা ৫০ গজের মধ্যে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। পুলিশের নীরব ভূমিকা। এমনটা কেন হচ্ছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে এটা আমি জানি না। এজন্য উত্তরটা আমি দিতে পারবো না। আমি গিয়ে দেখবো। এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সকালে রাজধানী ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে আসেন। সকাল ৯টায় পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।