স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: ৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:৫৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর কেরাণিরটেক বস্তি ও হোটেল জাভানে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছেন। রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
হোটেল জাভান থেকে ১০৫জন, কেরানিরটেক বস্তি থেকে ৭২জন। এর মধ্যে পুরুষ-৫১ ও মহিলা-২১জন। আটককৃতদের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় জানা যায়নি। অভিযানে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনির প্রায় ৫শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কেরাণিরটেক বস্তির বিভিন্ন রুম থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় নগদ ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে টঙ্গীর জাভান হোটেলে যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে মিজানুর রহমান মিল্টন (৫৫) নামের এক অপসরপ্রাপ্ত সার্জেট পালাতে গিয়ে বিদ্যুৎ এর তাড়ে জড়িয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। মিজানুর রহমান মিল্টন গোপালগঞ্জ জেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে বলে জানা গেছে। নিহতের দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ মিশেল রহমান খান জানান, ২০১৬ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসরে যান। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে রিটায়ার্ড করেন। তিনি জাভান হোটেলের মালিক বাদলের খালাতো ভাই। আত্মীয়তার কারণে তিনি ওই হোটেলে চাকুরি করতেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। এরপর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
গত ১০ দিনে মোহাম্মদপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্য এবং ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।