জাতীয়

ঢাবিতে তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

  নিজস্ব প্রতিবেদক :: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , ৮:২৭:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

Screenshot 10

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা বর্ণিল ও বিচিত্র গ্রাফিতি ঘুরে দেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই জুলাই-অগাস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও নগরের দেয়ালে তরুণ শিক্ষার্থীদের আঁকা সেরা গ্রাফিতি নিয়ে একটি আর্টবুক প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ‘দি আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি আর্টবুক প্রকাশ করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে তরুণ চিত্রশিল্পীদের আঁকা-লেখায় ঢাকা সারা দুনিয়ার গ্রাফিতি রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পায়। দেয়ালগুলো পরিণত হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিশাল ক্যানভাসে। সরকারকে নানা শক্তিশালী বার্তা দিতে তারা বিভিন্ন সৃজনশীল ও হৃদয়গ্রাহী শ্লোগান ও কবিতা লিখেছে। এসব বার্তা যেন বিপ্লবের চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাক্ষার শিল্পিত প্রতিফলন। ছাত্ররা দেশবাসীর সমর্থন আদায়ে শিল্পকর্মের মাধ্যমে মুক্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল।
ছাত্রদের মনের মাধুরী মিশিয়ে দেয়ালে-দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা স্বপ্ন-বাসনার এসব নান্দনিক ও নজর-কাড়া চারুকলা গোটা ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে দেয়। এর মধ্যে অনেক গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। প্রশংসা কুড়ায় সর্বস্তরের মানুষের।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলকে এই আর্টবুক উপহার দিয়েছেন। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাদের হাতে এ উপহার তুলে দেন তিনি।
এছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের ৭৯ তম সাধারণ অধিবেশেনে যোগ দিতে নিউইয়ক সফরের সময়ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের হাতে ‘দি আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে আর্টবুকটির কপি তুলে দেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে গ্রাফিতির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘এসব গ্রাফিতিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পাশবিক শক্তিকে প্রতিহত করতে নৃশংস এক বাহিনীর মুখোমুখি আন্দোলন-বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও যুবকদের দাবি-দাওয়া, আবেগ-অনুভূতি, আশা-আকাক্ষা চিত্রিত হয়েছে।’
মার্কিন প্রতিনিদিলকে উদ্দেশ্য ঢাকার দেয়ালগুলো একবার ঘুরে দেখার অনুরোধ করে অধ্যাপক ইউনূস তখন বলেছিলেন, ‘এসব গ্রাফিতি এখনো রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। এগুলো শুধু বিপ্লবের পরই নয়, আন্দোলন চলাকালেও শিক্ষার্থীরা সরকারি বাহিনীকে অমান্য করে এসব গ্রাফিতি আকেঁন।’

আরও খবর

Sponsered content