ক্রীড়া ডেস্ক :: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ১:৪১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
লিটন দাস যখন আউট হয়ে সাজঘরের দিকে ফিরছেন তখন ইনিংস হার চোখ রাঙাচ্ছিল টাইগারদের। এর ঠিক আগে ফিরে যান আগের দিনের সেট দুই ব্যাটার। তখন উইকেটে শেষ স্বীকৃত দুই ব্যাটার জাকের আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে হতাশ করেননি এই দুই ব্যাটার।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এখনও ১ রান করতে হবে তাদের। মিরাজ ৫৫ ও জাকের ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
এদিন দলীয় ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ ও জাকের। তখন ইনিংস হার এড়াতে ৯০ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। দেখে শুনেই খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। তবে মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে রানের গতিও সচল রাখেন তারা। ফলে অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটি গড়েই লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
চাপের মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি করেছেন মিরাজ। সাকিব আল হাসান না থাকায় এক ধাপ উপরে ব্যাটিংয়ে নেমে এখন পর্যন্ত ৫৫ রান করেছেন এই ব্যাটার। ১০৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। শুরুতে কিছুটা সেকি থাকলেও উইকেটে মানিয়ে নিয়ে মিরাজকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন জাকেরও। ৭১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রথম চার ওভার ভালোভাবেই কাটায় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে এসেই হয় বিপত্তি। কাগিসো রাবাদার কথা অফস্টাম্পের বেশ বাইরের প্রথম অহেতুক খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মাহমুদুল হাসান জয়। জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লাস করতে গেলে ব্যাটার বাইরের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো ডেভিড বেডিংহ্যামের হাতে। ৯২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন জয়।
একই ওভারে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার মুশফিককেও তুলে নেন রাবাদা। আবারও সেই ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝে পড়ে হালকা সুইং করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ড্রাইভ করতে গেলে লাইন মিস করেন তিনি। ৪৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ রান করেন মুশফিক।
দুই ওভার পর আঘাত হানেন কেশভ মহারাজ। তার কিছুটা ধীর গতির বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। প্রথমে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় প্রোটিয়ারা। রিপ্লেতে দেখা যায় ভেরেইনার হাতে যাওয়ার আগে ব্যাটে চুমু খেয়ে যায় বল।