স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , ৮:২৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের পরও দেশের অর্থনীতি টিকে আছে পোশাকশিল্পের ওপর- এমনটাই বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, এই শিল্পের শ্রমিকদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করা তার একটি স্বপ্ন। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড কারখানায় পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলে তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার দীর্ঘ লড়াই শেষে বর্তমান সরকার দায়িত্বে এসেছে। তাদের প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। পোশাক শিল্প অঞ্চলে অসন্তোষ ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। এতে বহিরাগতরা জড়িত। শ্রম অসন্তোষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে ১৮টি যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘দাবিগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক প্রাণ দিয়েছেন। তাই শ্রমিকদের সব সময়ই অগ্রাধিকার বেশি।
পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে নিজের একটি স্বপ্নের কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, ‘পোশাক শ্রমিকদের কোনো পেনশন নেই। আমার একটি স্বপ্ন আছে, অন্যান্য পেশাজীবীর মতো পোশাক শ্রমিকদের পেনশন ব্যবস্থা চালু করা।’ এ ব্যাপারে কারখানা মালিকদের শতভাগ সহযোগিতা আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামাম, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নোমান প্রমুখ।
বুধবার কারখানারটির এক হাজার শ্রমিককে টিসিবির পণ্য দেয়া হয়। পরে কয়েক ধাপে কারখানার ১৩ হাজার শ্রমিককে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এতে প্রত্যেকে পাবেন ৫ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল। শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন থেকে টিসিবির পণ্যের মূল্য বাবদ ৪৭০ টাকা কেটে নেয়া হবে।