ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:৫৪:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
টাকা ছাড়া কোন সেবাই মিলে না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে। এই অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারীর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি কারনে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকা দিলে বিদ্যুতের গতিতে সেবা পাওয়া যায়। টাকা না দিলে হয় না কোন কাজ, মাসের পর মাস পড়ে থাকে ফাইল। উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাদ্দাম হোসেন রোমান খানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট কর্মচারী মান্তিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন ভোটার নিবন্ধন, সংশোধন ও ভোটার ট্রান্সফারসহ বিভিন্ন সেবা নিতে হচ্ছে বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষের। কর্মকর্তার ঘনিষ্ট কর্মচারীর হওয়ার সুবিধার্থে কর্মচারী মান্তিকুল ইসলাম গত মাসের ১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার কর্মকর্তার আইডি, পাসওয়ার্ড, ওটিপি ব্যবহার করে অত্র কার্যালয়ে কর্মকর্তার অনুপস্থিতে, ঢাকা অবস্থানকালে প্রায় ১৫০ টির মতো “ক” ক্যাটাগরির আবেদন নিয়ম বহির্ভূত সংশোধন করেছেন। দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম ও একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে বাঞ্ছারামপুর নির্বাচন অফিসে চাকুরি করে যাচ্ছেন কর্মচারী মান্তিকুল ইসলাম। উক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে কার্যালয়ের ভিতর ও বাহিরে প্রতিবাদ করলে ভোগতে হচ্ছে হয়রানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রে যানা যায়, মান্তিকুলের অনৈতিক কাজে বাধা দিলে কর্মকর্তার ঘনিষ্টতা ব্যবহার করে একাধিক কর্মচারীকে, কর্মকর্তা বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক বদলী করিয়েছেন। এছাড়া আরো দুইজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে কক্সবাজার জেলায় শাস্তিমূলক বদলী করানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে নির্বাচন অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারী মান্তিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্দে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এছাড়া অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাদ্দাম হোসেন রোমান খান পূর্বের বদলীকৃত কর্মস্থল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে গেজেট জালিয়াতির মতো কর্মকান্ড করেছিলো, যা পরিবর্তিতে আলোচিত সংবাদ হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তাছাড়া উক্ত কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সক্রিয় ক্যাডার ছিলো এবং তার আপন চাচা নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি মনিরুজ্জামান খান। এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাদ্দাম হোসেন রোমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে আমার আইডি, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কোন কিছু সংশোধন করার সুযোগ নেই। আর আমার অফিসের কোন কর্মচারী যদি অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।