নিজস্ব প্রতিবেদক :: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৮:০৬:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
টেকসই ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে দেশের জ্বালানিবিষয়ক সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ‘জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট-বিডি)’। ৭৫টি নাগরিক সংগঠন (সিএসও), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, স্থানীয় সংগঠন, জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদদের নিয়ে এই নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই নেটওয়ার্কের আত্মপ্রকাশ ঘটে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল অ্যানালাইসিসের প্রধান জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খানসহ দেশের বিশিষ্ট ২৩ জনের একটি উপদেষ্টামণ্ডলী প্যানেল এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
দেশে জ্বালানি সুশাসন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, সবুজ কর্মসংস্থান, ন্যায্য ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নারীদের অংশগ্রহণ, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ, পরিবেশ ও জনপদের সুরক্ষা, ক্যাম্পেইনসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে জেটনেট-বিডি।
একশনএইড বাংলাদেশের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন (জেট) টিমের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেটনেট-বিডির কার্যকরী লক্ষ্য হলো সুশীলসমাজের জোরালো কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং একটি সবুজ ও টেকসই জ্বালানিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে সংগঠিত করা। সহযোগিতামূলক এই নেটওয়ার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচার, সদস্য সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করার মধ্য দিয়ে দেশে একটি টেকসই জ্বালানি রূপান্তর অর্জনে নিবেদিত থাকবে।’
দেশের জ্বালানি খাতে সুশাসন আনয়নে সরকারের সঙ্গে নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে সংলাপের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে জেটনেট-বিডি নিবেদিতভাবে কাজ করবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘গত সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের হোম সোলার সিস্টেম পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে। টেকসই ও সবুজ জ্বালানিনির্ভর খাত নিশ্চিতে সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনার প্রয়োজন।