স্টাফ রিপোর্টার:: টঙ্গীতে উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজে ছাত্রী মাহফুজা আক্তার (১৭)উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর ) বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড এরশাদ নগর এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের চেতনায় বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার লক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখার জন্য এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে। এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জবরদখলসহ নানাবিধ অপকর্মে চালিয়ে যেতে জনমনে আতংক ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আর কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাকে হামলার স্বীকার হতে হচ্ছে। তেমনি সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন এরশাদনগর ৪নং ব্লকের বাসিন্দা মোবারক হোসেনর মেয়ে কলেজ ছাত্রী মাহফুজা। তাদের বাড়ির সামনে কতিপয় সন্ত্রাসী বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। শব্দ পেয়ে কলেজ ছাত্রী মাহফুজা আক্তার বাসা থেকে বের হলে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। পরে এলাকাবাসি কলেজ ছাত্রী মাহফুজাকে আহত অবস্থায় শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী কলেজ ছাত্রী মাহফুজার উপর নেক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের অতিসত্বর গ্রেফতারের দাবি জানান। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর মা বেলি আক্তার বলেন, আমার মেয়ে মাহফুজা আক্তার উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজের বানিজ্য বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মত আমার মেয়েও রাজপথে আন্দোলনে ছিল। ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটা নতুন স্বাধীনদেশ পেয়েছি। সারাদেশ স্বাধীন হলেও আমাদের এরশাদ নগর এলাকা বোধ হয় এখনও স্বাধীন হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে গত মঙ্গলবার মিজান , মঞ্জু, কানা নুরু মিয়া, আনোয়ার , সুমন , চাঁন মিয়া, বাবু, শামীম, লিপু, রশিদ, রিপন মইজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমার বাসার সামনে এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। শব্দ পেয়ে আমার মেয়ে মাহফুজা আক্তার বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পায় তারা একটি ছেলেকে মারধর করে নিয়ে যাচ্ছে, আমার মেয়ে তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদ জানালে তার উপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার জীবনের ঝুঁকির মধ্যে আছি। আমি ও আমার পরিবার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।