জাতীয়

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে স্থবিরতা অফিস করছেন না প্রধান নির্বাহী

  নিজস্ব প্রতিবেদক :: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:৫০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Screenshot 3

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকেই শূন্য প্রশাসকের পদ। ২৮ আগস্ট থেকে নগর ভবনে অফিস করছেন না প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও। ১২ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলে গেছেন সচিব। গুরুত্বপূর্ণ ওই তিন শীর্ষ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে নগর ভবনে। আটকে আছে গুরুত্বপূর্ণ বহু নথি।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট গাজীপুরসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওইদিনই ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামকে গাজীপুর সিটির প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওইদিন তিনি গাজীপুরে যোগদান করেন। এটিই ছিল তার নগর ভবনে প্রথম ও শেষ কর্ম দিবস। এরপর থেকেই তিনি ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে গাজীপুর সিটির কাজকর্ম পরিচালিত করতেন।
কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর সাবিরুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রত্যাহার করে সরকার। নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ না দেওয়ায় ৬ দিন ধরে শূন্য রয়েছে আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটির প্রশাসকের পদ।
এদিকে ২৯ আগস্ট থেকে নগর ভবনে আসছেন না প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম সফিউল আজম। তিনি গত ১৪ জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সাভার লোক প্রশাসন কেন্দ্রে ট্রেনিংয়ে ছিলেন। ২৮ জুলাই কর্মস্থলে যোগ দিয়ে মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ছুটি শেষে আর নগর ভবনে আসেননি তিনি। তবে ২০ আগস্ট থেকে ঢাকায় প্রশাসকের (বিভাগীয় কর্মকর্তার) কার্যালয়ে বসছেন। গাজীপুরের নগর ভবন থেকে ফাইল ঢাকায় নিয়ে গেলে সেখানে বসে স্বাক্ষর করছেন। ওই বড় দুই কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে গতি কমে আসে নগর ভবনের কাজকর্মের।
নগর ভবর সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই কর্মকর্তার শূন্যতার মধ্যেই গত ১২ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলে গেছেন সচিব আবদুল হান্নান। এতে আরো স্থবিরতা নেমে আসে নগর ভবনে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত ও নথি আটকে আছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে শিল্প কারখানার রাজস্ব আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে। নানা অজুহাতে ধার্যকৃত রাজস্ব পরিশোধ করতে চাচ্ছেন না বহু কারখানা মালিক। তারা কম টাকা পরিশোধ করে ট্রেড লাইসেন্স পেতে রাজস্ব আপিল রোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু নির্বাচিত মেয়র ছাড়া রাজস্ব কমানোর এখতিয়ার আপিল বোর্ডের নেই। তাছাড়া যোগদান করেই বিদায়ী প্রশাসক ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের সম্পূর্ণ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ রাজস্ব পরিশোধ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স না দিতে অফিস আদেশ জারি করেছেন। এতে আটকে গেছে বহু কারখানার ট্রেড লাইসেন্স।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম সফিউল আজম জানান, দুই-একদিনের মধ্যেই নতুন প্রশাসক নিয়োগ হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন। বদলি হয়ে যাওয়া প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ঢাকায় থেকে কাজ করছেন। সচিব বদলি হলেও সিটি করপোরেশন বিধি অনুযায়ী সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা (উপসচিব) দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। বুধবার থেকে তিনি নগর ভবনে অফিস করবেন।

আরও খবর

Sponsered content