স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:৫৩:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
টঙ্গীতে গাজীপুর মহানগর জামায়াত আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, আলেমদের মধ্যে শুধু বাহ্যিক ঐক্য নয়, দিলের এক্য গড়ে তুলতে হবে। ছোটখাটো এখতেলাফ দূর করে আলেম ওলামা ও ইসলামপন্থী সবাইকে ঈমানের দৃঢ়তা নিয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে এই উম্মাহকে জাগিয়ে তোলা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের আলেমদেরকে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে ময়দানে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখতে হবে।
আজ শনিবার সকালে টঙ্গীর তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা অডিটরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জামায়াত আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।
মহানগর জামাতের আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা নূরুল আমিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুর রহীম আল মাদানী, হেফাজতে ইসলাম নেতা মুফতি ফজলুর রহমান মুনসি, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আবুল হাশেম, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর খায়রুল হাসান, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, সহকারী সেক্রেটারি আফজাল হোসেন, মাওলানা হোসেন আলী, ড. সাইদুল হক, মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসেন, ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শত শত ছাত্র জনতার শাহাদাতের বিনিময়ে আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। ফখরুদ্দিন-মঈন এর দুই বছরসহ প্রায় আঠারো বছর ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার এসময়ে গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে রেখেছিলো। ইসলাম ও আলেম ওলামা ছিলো তাদের প্রধান শত্রু। মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে বহু আলেমের জীবন কেড়ে নিয়েছে। বহু আলেমকে কারাগারে রেখেছে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে ব্যার্থ করতে আওয়ামী লীগের দালালরা দেশে নানাবিধ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে । ফ্যাসিস্ট সৈরাচারের কোন ষড়যন্ত্র আমরা বরদাশত করবো না। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে।